
■ ফ্রিল্যান্সিং কি?
✏ ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি কাজের ধরণ যেখানে একজন ব্যক্তি কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে, নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে। ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসেই তাদের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন।
■ ফ্রিল্যান্সার কাকে বলে?
✏ যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারে।
যেমন:
⁃ 3D অ্যানিমেশন
⁃ গ্রাফিক ডিজাইন
⁃ UI UX ডিজাইন
⁃ UI UX ডিজাইন
⁃ ভিডিও এডিটিং
⁃ সাউন্ড এডিটিং
⁃ ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
⁃ কপিরাইটিং
⁃ টেক্সট রাইটিং
⁃ প্রোগ্রামিং
⁃ অনলাইন মার্কেটিং
⁃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
⁃ ডেটা এন্ট্রি
⁃ ক্লাউড কম্পিউটিং
⁃ ইমেইল মার্কেটিং
ইত্যাদি,,,
■ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করে?
✏ ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নির্বাচন করতে হবে। তারপর সেই ক্ষেত্রের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
💡ফ্রিল্যান্সিং কাজ খুঁজে পেতে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করতে পারেন।
যেমন:
যেমন:
• Upwork
• Freelancer
• Fiverr
• Guru
• PeoplePerHour
• Toptal
• 99designs
এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। আপনি আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে এই বিজ্ঞাপনগুলোতে আবেদন করতে পারেন।
🚩 আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তবে নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন:
• একটি ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করুন। আপনার কাজের নমুনাগুলো আপনার পোর্টফোলিওতে যুক্ত করুন।
• আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একটি সুন্দরভাবে লেখা বায়োডাটা তৈরি করুন।
• ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সক্রিয় থাকুন। নতুন নতুন কাজের বিজ্ঞাপনগুলো দেখুন এবং আবেদন করুন।
• আপনার কাজের মান নিশ্চিত করুন। নির্ধারিত সময়ে কাজটি সম্পন্ন করুন এবং ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি অর্জন করুন।
🚨আর আমরা যেহেতু বাংলাদেশী, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। সে জন্য আমাদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়া অনেক জরুরী। কারণ আমরা যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করবো তারা অন্য দেশের মানুষ যারা বাংলা বোঝেনা। কিন্তু, ইংরেজি বোঝে। সে জন্য আমাদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়া অনেক জরুরী।
🟢 ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা :
• ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে ঘরে বসেই কাজ করার সুযোগ করে দেয়।
• ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে আপনার নিজস্ব সময়সূচী নির্ধারণ করার সুযোগ করে দেয়।
• ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ করে দেয়।
• ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়।
🔴 ফ্রিল্যান্সিংয়ের অসুবিধা :
• ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
• ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের পরিমাণ অনিশ্চিত হতে পারে।
• ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্লায়েন্টের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন হতে পারে।
✅ তবে, ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাবনাময় উজ্জল ক্যারিয়ার। যদি আপনি আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে ফ্রিল্যান্সিং একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
💡ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কিছু টিপস:
• আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নির্বাচন করুন।
• সেই ক্ষেত্রের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করুন।
• একটি ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
• আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একটি সুন্দরভাবে লেখা বায়োডাটা তৈরি করুন।
• ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সক্রিয় থাকুন।
• আপনার কাজের মান নিশ্চিত করুন।
বিঃদ্রঃ আপনি এই আর্টীকেলটি পড়লেন আর ডিসিশন নিয়ে ফেললেন যে, আগামীকাল থেকে পিসি কিনে কোন জায়গায় কোর্সে ভর্তি হয়ে একদম কাজে ঝাঁপিয়ে পরবো। কখনোও এভাবে ভাববেন না।
আগে আপনি এমন একটি সেক্টর খুঁজে বের করেন যেখানে কাজ করতে আপনার ভালো লাগে। যে কাজে আপনার অলসতা অথবা বিরক্ততা আসবেনা এমন একটি সেক্টর।
তারপরে, আপনি যে সেক্টরটী চয়েস করেছেন ওইটা নিয়ে ২/৩ সপ্তাহ ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করেন এবং এটার পাশাপাশি এটাও খুঁজতে হবে যে, আপনি যে সেক্টরটি চয়েস করছেন সেইটার sustainability (স্থায়িত্ব) কেমন।
তারপরে, আপনি যে সেক্টরটী চয়েস করেছেন ওইটা নিয়ে ২/৩ সপ্তাহ ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করেন এবং এটার পাশাপাশি এটাও খুঁজতে হবে যে, আপনি যে সেক্টরটি চয়েস করছেন সেইটার sustainability (স্থায়িত্ব) কেমন।
কারণ, ধরেন এমন একটি সেক্টর চয়েস করলেন যেইটা ভালো ভাবে শেখা শেষ হইতে হইতে মার্কেটে ওইটার ডিমান্ড কমে গেছে। মার্কেটে ওই কাজের তেমন কোন চাদিহা নেই। তখন সামনে বেশী আগাইতে পারবেন না।
সে জন্য আপনাকে এমন একটি ইউনিক সেক্টর চয়েস করতে হবে যেইটার মার্কেট আগামী সর্বনিম্ন পাঁচ বছর রাজত্ব করবে।
আরও কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে প্রশ্ন করতে পারেন। ✍️
